কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি?
বর্তমান বিশ্বে ব্যবহৃত কম্পিউটারগুলোকে বিভিন্নভাবে শ্রেনিবিভাগ বা প্রকারভেদ করা যায় যথা:-
- কাজের ধরন ও ব্যবহারের প্রয়োগক্ষেত্র অনুসারে কম্পিউটারের প্রকারভেদ।
- গঠন ও কাজের প্রকৃতি অনুসারে কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ।
- ডিজিটাল কম্পিউটার বা আকার, আয়তন ও কার্যকারিতা অনুসারে কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ।
- কাজের ধরণ ও প্রয়োগক্ষেত্র অনুসালে কম্পিউটার দুই প্রকার। যথা:-
বিশেষ কাজে ব্যবহারের জন্য কম্পিউটার।
সাধারণ কাজে ব্যবহারের জন্য কম্পিউটার। - গঠনও কাজের প্রকৃতি বা প্রযুক্তি অনুসারে কম্পিউটার তিন প্রকার। যথা;-
অ্যানালগ কম্পিউটার
ডিজিটাল কম্পিউটার
হাইব্রিড কম্পিউটার
ডিজিটাল কম্পিউটার বা আকার, আয়তন ও কার্যকারিতা অনুসারে কম্পিউটার চার প্রকার। যথা:-
সুপার কম্পিউটার
মেইনফ্রেম কম্পিউটার
মিনি কম্পিউটার - মাইক্রো কম্পিউটার
মাইক্রো কম্পিউটার আবার ৫ প্রকার । যথা:-
ডেক্সটপ কম্পিউটার
ল্যাপটপ কম্পিউটার
পামটপ কম্পিউটার
নোটবুক কম্পিউটার
পকেট কম্পিউটার
কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি
কম্পিউটার প্রকারভেদ
কম্পিউটারের ব্যবহার বা প্রয়োগ ক্ষেত্র
আধুনিক এই যুগে চারিদিকেই হচ্ছে কম্পিউটারের প্রচুর ব্যবহার । আজকাল প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই কম্পিউটারের প্রযোগ চোখে পড়ার মত। এর প্রধান কারণ হলো কম্পিউটারের নির্ভুল কর্মসম্পাদন, দ্রুতগতি, মেমোরি, স্বয়ংক্রিয় কর্মক্ষমতা, সহনশীলতা ইত্যাদির ফলশ্রুতিতে কম সময়ে অনেক বেশি কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। যার ফলে এর প্রয়োগ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
- যোগাযোগে কম্পিউটারের ব্যবহার
- অফিস ব্যবস্থাপনায় কম্পিউটারের ব্যবহার
- শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার
- গবেষণায় কম্পিউটারের ব্যবহার
- কৃষিক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার
- ডাটা কমিউনিকেশনে কম্পিউটারের ব্যবহার।
- ব্যাংকিং ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার
- প্রকাশনায় কম্পিউটারের ব্যবহার
- চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার
- ব্যবসা- বাণিজ্যের কম্পিউটারের ব্যবহার
- বিনোদন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার
- ডিজাইন বা নকশায় কম্পিউটার সফটওয়্যারের ব্যবহার
আধুনিক কম্পিউটারের বেশিষ্ট্য
১/ দ্রুতগতি : কম্পিউটার অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে কাজ করে । এত দ্রুতগতির কারণ হলো এটা কাজ করে বৈদ্যুতিক সিগন্যালের মাধ্যমে, যা চলাচল করে প্রায় আলোর বেগের সমান গতিতে।
২/ বিশ্বাসযোগ্যতা : কম্পিউটার দ্রুতগতিতে কাজ করলেও এর কাজ নির্ভুল। উন্নত প্রযুক্তির কারণে কম্পিউটাররে সব সময় নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম দিয়ে নির্দিষ্ট কাজ পুরোপুরি নির্ভুলভাবে করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে প্রোগ্রাম ও ডাটা অবশ্যই ১০০% নির্ভুল হতে হবে। আধুনিক কম্পিউটার প্রমাণ করেছে যে, মানুষ ভুল করে, কিন্তু কম্পিউটার ভুল করে না।
৩/ সূক্ষ্মতা : কম্পিউটারে প্রাপ্ত ফলাফলের সূক্ষ্মতা অতুলনীয়। এর গণণার সূক্ষ্মতা অত্যন্ত বেশি। গাণিতিক হিসেবের ক্ষেত্রে এটি অনেক স্থান পর্যন্ত ফলাফল দিতে সক্ষম।
৪/ ক্লান্তিহীনতা : দীর্ঘক্ষণ একটানা কাজ করলেও কম্পিউটার ক্লান্ত হয় না বা গণণায় ভুল করে না।
৫/ স্মৃতি বা মেমোরি : কম্পিউটারের স্মৃতি অতি বিশাল; কোটি কোটি ডাটা ও নির্দেশ এতে জমা রাখা যায়।
৬/ যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত : কম্পিউটার যে শুধু বিভিন্ন গাণিতিক প্রক্রিয়াই সম্পন্ন করতে পারে তা নয়, সেই সাথে লজিক প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাপারে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
৭/ বহুমুখিতা : বর্তমান কম্পিউটার জটিল কাজ সম্পন্ন করার এক শক্তিশালী মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। সাধারণ হিসাব-নিকাশ থেকে শুরু করে জটিল বৈজ্ঞানিক সমস্যার সমাধানসহ অনেক ব্যাপারেই কম্পিউটার মানুষকে সহায্য করতে পারে।
৮/ স্বয়ংক্রিয়তা : কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে থাকে। কম্পিউটার পরস্পর নির্ভরশীল পর্যায়গুলোর কাজ ধারাবহিকভাবে সম্পন্ন করে থাকে। অর্থাৎ প্রদত্ত নির্দেশমতো স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার ডাটা প্রক্রিয়াকরণ করে সমস্যা সমাধান দিতে পারে।